কক্সবাজার, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

বরিশালে ৪ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার বাস ধর্মঘটের ডাক

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৫ নভেম্বর বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশ ডেকেছে দলটি। কিন্তু সমাবেশের ১০ দিন আগে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতি। সমাবেশের আগের দিন শুরু হবে ৪৮ ঘণ্টার এই ধর্মঘট।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে।

মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও থ্রি হুইলারসহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতি।

আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটের সব বাস চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

কিশোর কুমার দে বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও অবৈধভাবে এসব যানবাহন চলছে মহাসড়কে। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দূরপাল্লার বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় থ্রি হুইলারের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রী সাধারণের নির্বিঘ্নে ও নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে ৩ নভেম্বরের মধ্যে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ না করা হলে ৪ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ থেকে আঞ্চলিক, দূরপাল্লারসহ সব ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপি কি এবং কবে সমাবেশ করছে তা তারা জানেন না। তবে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন বলেন, বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে গণসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি।

গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের সমাবেশটি নির্বিঘ্নে হলেও ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও ২২ অক্টোবর খুলনার বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও সেখানকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বাস ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে দু’দিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় গণসমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি চাকরিজীবী, চাকরিপ্রার্থী এবং সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাদের সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিএনপির অতীতের নানা কর্মসূচিতে বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ভয়ে মালিকরা বাস বন্ধ রাখছে, এতে সরকারের হাত নেই।

পাঠকের মতামত: